আসাদ নুর নামের এক উন্মাদকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। শুনছি তাকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার অপরাধ ৫৭ ধারার অপরাধ নয়। তার জন্য ব্লাসফেমি আইনের কথা বলছেন কেউ কেউ। এই ব্লাসফেমি আইন খ্রিস্টানদের আবিষ্কার। এই আসাদ নুরের অপরাধের জন্য ব্লাসফেমির দরকার নাই। তার অপরাধ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালেও বিচার করা যায়। কীভাবে? আসেন দেখি।
জাতিসংঘের হিউমান রাইটস কাউন্সিল ১৫ই এপ্রিল ২০১০ সালে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কীভাবে লড়া যায় সে বিষয়ে কয়েকটি সুনির্দিস্ট সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। ২০১১ সালের ২১শে মার্চ সর্বসন্মতভাবে সেই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের মতে ধর্ম অবমাননা একটি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। ধর্মীয় চরিত্রের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা একটি মানবাধিকার বিরোধী কাজ। খুব কৌতুহলউদ্দীপক যে ৭ নম্বর সিদ্ধান্তে বলা হচ্ছে, ইসলাম এবং মুসলমানদের ভুলভাবে বারেবারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে যুক্ত করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে ফলে মুসলমান সম্প্রদায় ও ইসলাম ধর্মকে কলংকিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে; হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল এই প্রবণতার বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এই রেজুলুশনে বাংলাদেশ সাক্ষর করেছে।
আসাদ নুর নামের সো কল্ড মুক্তমনা যে কিনা আদতে একজন মানসিক রোগগ্রস্থ, সে ফ্রি স্টাইলে ধর্ম অবমাননা চালিয়ে গেছে, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগু্লোকে এই উন্মাদদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে।
এই মুক্তমনা নামের ফাজিল আর বেয়াদপগুলিকে আপনি জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুসারে বিচার করুন। এটা ফ্রিডম অব স্পিচ নয়, এটা মুক্তিচিন্তাও নয়, এটা জ্ঞানচর্চা নয়; এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মতো ঘৃন্য অপরাধ। এদের যথাযথ আদালতে বিচার করুন। আর তার উন্মাদ রোগের চিকিৎসা করুন।
জাতিসংঘের মুল ডকুমেন্টটা দেখতে এখানে ক্লিক করুন