প্রত্ন খননের জায়গাটার পাশেই একটা মাদ্রাসা। বৈশাখের দাবদাহ থেকে বাচতে মাদ্রাসার বারান্দায় এসে বসলাম। গতকাল থেকেই এরা আমাদের দেখছে, বিস্ময়ে বড় বড় চোখ করে। ওখানে বসতেই দুজন ছাত্র হাতপাখা নিয়ে বাতাস করতে শুরু করলো। আমাদের শহুরে ভ্যালুজ দিয়ে এই বাচ্চাগুলোর বাতাস দেয়া মেনে নিতে পারলাম না। যতবার মানা করি শোনে না। শেষ পর্যন্ত হাত থেকে পাখা কেড়ে নিতে গেলাম, আর ছেলেটা ভ্যা করে কেঁদে দিল। আমি বিব্রত, কাদে কেন? গ্রামের মানুষ বলল, ওদের বাতাস করতে দিন, ওটাই ওদের আদব, আপনি মুরুব্বি এবং অতিথি আপনাকে এই সন্মান করাটাকে ওরা কর্তব্য মনে করেছে। আমি স্তব্ধ হয়ে বসে থাকি।
কত কিছুই যে জানিনা। দেশের অধিকাংশ মানুষ এর জীবন আর মুল্যবোধের সাথে পরিচয় ই হয়নি আমার। আমার কাছে সবসময় বইয়ের সাথে টেক্সট মার্কার পেন আর নানা ধরণের পেইজ মার্কার থাকে। ফিরে আসার সময় আমি ওকে একটা টেক্সট মার্কার দিলাম, আর অরিজিন অব স্পিসিস পড়ছি সেখান থেকে খুলে নিয়ে পেইজ মার্কার দিলাম। সে দৌড়ে ভিতরে গেল, এবার হাতে একটা বই, নুরানি নামাজ শিক্ষা, লক্ষ্য করলাম অরিজিন অব স্পিসিস থেকে খুলে দেয়া পেইজ মার্কার সেখানে ঠাই নিয়েছে।
2 thoughts on “আমি গর্বিত ও সম্মানিত এদের জানতে পেয়ে”
স্যার, লেখাটা আরেকটু বড় ও বিস্তারিত হলে ভাল হত।
দাদা। আপনার পোষ্টে লাইক আনলাইক অপশান চালু করতে পারেন। you can just install a plugin for that