আমাদের সমাজে মিডিল ক্লাস ভ্যালুজে ফ্ল্যাক এবং আই সি টি অ্যাক্ট

চমস্কি এবং এডয়ার্ড হারমান আমেরিক্যান মিডিয়ার একটা প্রোপ্যাগান্ডা মডেল প্রোপৌজ করেছিলেন। কীভাবে একটা সংবাদ থেকে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে যায় এমন খবর কে ফিল্টার করতে করতে শেষ পর্যন্ত খবরটাকে ই নাই করে দেয়া হয়। অথবা কীভাবে মিডিয়া দিয়ে রাষ্ট্রের কাজে সামাজিক কনসেন্ট আদায় করা হয়।

উনারা বলেছিলেন পাঁচটা স্তরের ফিল্টার আছে। এর মধ্যে আছে মালিকানা, বিজ্ঞাপন, সৌর্স অব ইনফৌ, কমিউনিজম ভীতি (যা বর্তমানে ইসলাম ফোবিয়া) আর ফ্ল্যাক (FLAK)।

ফ্ল্যাক শব্দটার অনেক অর্থ আছে। একটা অর্থ হচ্ছে নিন্দাবাদ বা গালাগালি করে কাউকে নিরস্ত করার চেষ্টা। সৌশাল মিডিয়ার কথা চিন্তা করে দেখুন। এখানেও কি নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করা হবেনা? নিশ্চয় হবে। এই পাঁচটা ফিল্টারের মধ্যে কোনটা কি সৌশ্যাল মিডিয়াতে কার্যকর হবে? না হবেনা। শুধু ফ্ল্যাক এবং ভীতি উৎপাদন ছাড়া কোনটাই হবেনা। এখানে মালিকানা নেই, বিনিয়োগ নেই, বিজ্ঞাপন নেই, লেখার জন্য কারো কাছে হাত পাততে হয়না।

সেকারণেই সৌশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ঘৃণাবাদি, নিন্দাবাদি বা গালিবাজ গ্রুপ তৈরি হয়েছে। যারা তৈরি করেছে তাঁরা বুদ্ধিমান, লেখাপড়া জানা কামেল মানুষ। আমার ধারণা নিশ্চিতভাবে এই ফ্ল্যাকাররা ওয়েল পেইড। মোটা অংকের টাকা খরচ করা হয় এই ফ্ল্যাকার দের পিছনে। আমাদের সমাজে মিডিল ক্লাস ভ্যালুজে ফ্ল্যাক একটি অতি কার্যকর পদ্ধতি। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্ল্যাক কাজ করেনা। আমার ক্ষেত্রে অবশ্যই করেনা।

আর ভীতি উৎপাদনের জন্য আছে আই সি টি অ্যাক্ট। আমি মাঝে মাঝে শাসকদের বুদ্ধিমত্তায় চমৎকৃত হই।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter