একটি কথোপকথন
জনৈকঃ আপনি অভিজিতের হত্যাকারী আর অভিজিৎ কে একই পাল্লায় ফেলে মেপেছেন।
আমিঃ কোথায় মেপেছি, দেখান তো। আমার লেখা থেকে কৌট আন কোট করে দেখাবেন।
জনৈকঃ ঐ যে লিখেছেন অভিজিৎ আর নিহত হেফাজতের রক্ত এক।
আমিঃ দুজনের রক্তের তফাৎ কী?
জনৈকঃ একজন মুক্তমনা আরেকজন ধর্মান্ধ।
আমিঃ দাড়ান দাড়ান। আমি আবেগের কথা বলছিনা। আমি নাহয় মূর্খ মানুষ আপনারা তো বিজ্ঞান মনস্ক। এই দুই মানুষের রক্তের তফাতের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কী? রক্তের মধ্যে কি মুক্তমনা আর ধর্মান্ধ লেখা থাকে?
জনৈকঃ আপনি এরপরে বলবেন মানুষ আর ছাগলের রক্ত ও এক যেহেতু দুটোই লাল।
আমিঃ মানুষ এবং ছাগলের রক্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে আলাদা। আর আমি তো ছাগলের সাথে মানুষের রক্তের তুলনা করিনি। বাই দ্য ওয়ে, আপনি কি নিহত হেফাজতকে ছাগল মনে করেন? মনুষ্যেতর মনে করেন?
ফুট নৌটঃ “মুক্তমনা” মহলে “নিহত অভিজিৎ আর নিহত হেফাজত দুজনেই ভিক্টিম, দুজনের রক্তই এক” এই কথা বলার জন্য আমাকে নিয়ে যথেষ্ট গালাগালি হচ্ছে প্রতিদিন। কোন অসুবিধা নাই গালাগালি করতে থাকুন। এই গালাগালির পিছনের কারণ হচ্ছে হেফাজত কে মানুষের মর্যাদা দিতে আপনারা অপারগ। আপনাদের অপারগতার জন্য আমি দুঃখ বোধ করি, কিন্তু গালমন্দ করিনা। হেফাজতকে মানুষ বলে স্বীকার করে তাঁর জন্য মনুষ্য মর্যাদা দাবী করার জন্য হেফাজতি হতে হয়না। শত বিরোধিতা সত্ত্বেও মানুষের মর্যাদার প্রশ্নে আমি এবং আমরা অটল থাকবো। শতধা বিভক্ত এই জাতির আর কোন বিভক্তির ভার সইবার ক্ষমতা নাই। জয় হোক মানুষের।