অন্যের টাকায় বিদেশে চিকিৎসার চিন্তা বাদ দিন।

আপনি যখন শোনেন এই চিকিৎসায় ৩০-৪০ লক্ষ টাকা লাগবে তখন আপনার মেরুদণ্ড দিয়ে ভয়ের স্রোত বয়ে যায়। আপনি কল্পনা করেন, যদি আমার বা আমার প্রিয়জনের কারো এমন রোগ হয় তাহলে কী হবে? আপনি তখন সেই অনিশ্চয়তা থেকে বাচতে একটা উদাহরণ তৈরি করে রেখে চান, আপনি ঝাপিয়ে পরেন যেন টাকাটা যোগার হয়।

ঠিক এই সাইকোলজিক্যাল গেইম চালানো হয় আপনার সাথে; কারো চিকিৎসার টাকা জোগাড়ের নামে। ভালো বুদ্ধি।

বাংলাদেশে কেউ বিনা চিকিৎসায় মারা যায়না, সে যত দরিদ্রই হোক না কেন। চিকিৎসা হয়তো বিশ্বমানের হবেনা, কিন্তু চিকিৎসা হবে। যেমন রাষ্ট্র বানাইছি তেমন চিকিৎসা হবে, অসুবিধা কী?

রোগ হলে সরকারি হাসপাতালে যাবে রোগী। চিকিৎসা করাবে। পাবলিক রিসোর্স পুর্ণভাবে ব্যবহার করবে। এরপরেও যদি অর্থের সংকুলান না হয় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকে বলবে। অনেক সময় সরকারী হাসপাতালের কিছু অতিরিক্ত ফাণ্ড থাকে। সেখান থেকেও চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য সাহায্য করা হয়।

আর যদি বলেন দেশের চিকিৎসায় আস্থা নাই। বিদেশে যাইমু চিকিৎসার লাইগ্যা। তাইলে দয়া করে হাত পাতবেন না কারো কাছে, কাজটা দেখতে খুব বিরক্ত লাগে। কয়েকদিন পরপর ওরে বাঁচাইতে আগাইয়া আসুন, তারে বাচাইতে আগাইয়া আসুন এইটা দেখতে দেখতে বিরক্ত। নিজের পকেটের টাকায় বিদেশে যাইয়া চিকিৎসা করেন। কেউ মানা করবে না। পাবলিক মানি তুইল্যা বিদেশে যাইবেন চিকিৎসা করতে এই চিন্তা বাদ দেন।

লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter