নুরুল হক নুরকে রাত আড়াইটার সময় আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশে একজন অসুস্থ মানুষের সাথে এহেন বর্বর আচরণ করা হয়না। ভয়ে হোক স্বেচ্ছায় হোক এই সমাজের সকল সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থায় অনুবর্তী হয়ে উঠছে।
সিরাজ সিকদার সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যেতেন। সিরাজ সিকদারকে চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সিরাজ সিকদারকে হত্যা করার পরে।
মুক্তিযোদ্ধারা এই খবর জানতে পেরে বঙ্গবন্ধুর কাছে ছুটে যান ৩২ নাম্বারে। জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বঙ্গবন্ধু খুব স্নেহ করতেন। তিনি জাফর ভাইকে জিজ্ঞেস করেন, তোমাকে মেরেছে নাকি ওরা। জাফর ভাই উত্তর দেন, হ্যা। তোমার ওখানে কি সিরাজ যেতো! এবার জাফর ভাই উত্তর দেন, হ্যা যেত, আমি ডাক্তার চিকিৎসা দেয়া আমার কর্তব্য। আমাকে আজকে যারা মেরেছে, তারা আমার কাছে গেলেও আমি চিকিৎসা দেব।
গণসাস্থ্য কেন্দ্র আর জাফর ভাইরা তৈরি হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে। আর আজকের সো কল্ড করপোরেট হাসপাতাল তৈরি হয়েছে লুটপাটতন্ত্রের মধ্যে।
এই হাসপাতালে কি আমাদের যাওয়া উচিৎ? যারা রাতের আঁধারে আমাদের সন্তানতুল্য এক তরুণকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়?
মডার্ন হাসপাতাল কি ভেবেছে যে তাকে কোনদিন এর জন্য জবাবদিহি করতে হবেনা? জনগনের সরকার কখনো প্রতিস্ঠিত হলে, এই হাসপাতালের তো লাইসেন্স ধরে টান দেবে। দেয়া উচিত কিনা বলেন।