নিপীড়ক রাষ্ট্রকে, নিপীড়কের শাসনকে আমরা ফ্যাসিস্ট বলে গালি দেই। ফ্যাসিবাদ কোন গালি নয় এটা রাষ্ট্রের চরিত্র লক্ষণ। এই ফ্যাসিবাদের উদ্ভব হয় পুঁজিবাদের সংকটের সময়। বিষয়টা খেয়াল রাখতে হয়। ফ্যাসিবাদের গনভিত্তি থাকে। ফ্যাসিবাদের মুল সমর্থক হয় পেটি বুর্জোয়া মধ্যবিত্তরা। ফ্যাসিবাদ একটা আইডেন্টিটি তৈরি করে এবং বিমূর্ত জাতীয় গৌরবগাঁথা তৈরি করে। ফ্যাসিবাদ জাতীয় ইতিহাসকে এমনভাবে ব্যবহার করে যেন তা জনগণের যৌক্তিক লড়াইয়ের মুখোমুখি দাড়িয়ে সেই লড়াইকে ডিলিটিমাইজ করে দেয়। এবং পরিশেষে তা একচেটিয়া পুঁজির কাছে আত্মসমর্পণ করে।
বাংলাদেশের ফ্যাসিস্ট রুপান্তর আজকের ঘটনা নয়। এই রুপান্তরের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। এই ইতিহাস বাংলাদেশে পুঁজির বিকাশের ইতিহাসের সাথে যুক্ত।
বাংলাদেশের পুঁজিবাদী অর্থনীতি এক গভীর সংকটে। এই সংকট থেকে উত্তরনের জন্য ক্ষমতার ফ্যাসিস্ট রুপান্তর অনিবার্য। এই ফ্যাসিস্ট নিপীড়ন শেষ অবধি পুজিবাদের গভীর অসুখকে সারাতে পারেনা।
ঠিক এই কারণেই বিএনপির কাছে এই সংকট উত্তরণের কোন তরিকা নাই। এই সংকট উত্তরণের তরিকাকে পুঁজিবাদের এই সংকটকে ফয়সালার কাজকে হিসাবে নিতে হবে।
কেইস ক্লিয়ার???