বঙ্গ স্যেকুলারদের দেশীয় সব কিছুতেই আপত্তি। ধরেন রোগ মুক্তির জন্য যদি দেশের আলেমসমাজের কাছে থেকে কেউ দোয়া দরুদ নেয় তাতেও তাদের জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।
ধর্মীয় নেতাদের রোগের হিলিং প্রসেসে যুক্ত হওয়ার যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য আমাদের ছিলো সেটাকে ব্যঙ্গ, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আমাদের স্যেকুলারেরা আধুনিকতার জয়গান গায়। তাদের কাছে নিজের ঐতিহ্য আর প্র্যাকটিসকে ব্যঙ্গ করাই প্রগতি। অথচ তারাই দেখে যে, এখনো ইউরোপের মানুষ চায় পোপ তার রোগমুক্তির জন্য প্রে করুন যীশুর কাছে।
এই স্যেকুলারেরাই যখন পশ্চিমের হাসপাতালে যায় তখন তাঁরা নিশ্চয় দেখেন চ্যাপিলেন্সি সার্ভিস বলে একটা গুরুত্বপুর্ণ ডিপার্টমেন্ট থাকে হাসপাতালে যেখানে উপযুক্ত রোগীকে ফেইথ হিলিং স্পিরিচুয়াল এবং রিলিজিয়াস সাপোর্ট দেয়া হয়। এই সাপোর্ট দেন ধর্মিয় নেতারাই।
পশ্চিমারা এটা তাদের হাসপাতালগুলোতে এমনি এমনি আমদানী করে নাই। পশ্চিমা গবেষনাতেই দেখা গেছে রোগের দ্রুত মুক্তির জন্য স্পিরিচুয়াল এবং রিলিজিয়াস সাপোর্ট একটা জরুরী বিষয়। এরফলে রোগমুক্তি দ্রুত হয়, এমনকি শুধু এই সাপোর্টেই অনেক ফাংশনাল রোগের মুক্তি ঘটে।
আমাদের দেশেও আধুনিক চিকিৎসার সাথে ফেইথ হিলিং যুক্ত করা উচিৎ। এবং সেখানে ধর্মীয় নেতাদের যুক্ত করা উচিৎ। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নতি হবে।
রোগমুক্তিতে আলেমদের দোয়া দরুদ ফেলে দেয়ার বিষয় নয়। পশ্চিম যেটা নতুন করে শিখছে নিজেদের অগ্রসর করার জন্য, আমাদের সেই আবহমান প্র্যাক্টিসকে আমরা ছুড়ে ফেলে আধুনিক হবার প্রাণান্ত চেষ্টা চালাই সত্যিই এটা হাস্যকর।
তবে স্যেকুলারদের সম্ভবত খ্রিষ্টান ফাদার দিয়ে ফেইথ হিলিং করানোতে আপত্তি থাকবেনা, তাদের যত আপত্তি মাদ্রাসার আলেমদের দিয়ে ফেইথ হিলিং করানোতে। কেন আপত্তি সেটাও বুঝি, কিন্তু বারবার সেটা আর বলতে চাই না।
One thought on “যত দোষ সব ওই বেটা নন্দের”
স্যার,কোন অসুস্থ রোগীকে দোয়া করা সুন্নাত,মানে রাসূল স: এর আদর্শ,সেবা করাও।
এখন যারা ডাক্তার না তারা দোয়া করবেন।
যাতে তার রোই মুক্তি হয়।
এবং এটা বিশ্বাসের ব্যাপারও যাতে রোগী আশ্বস্ত হয় মনে শান্তনা পায় হয়তো উপরওয়ালা দোয়ার বরকতে তার রোগমুক্তি ঘটবে।
এই শান্তনা অনেক কাজে দেয়।
সুস্থ মানুষ অনেক সময় অসুস্থ হয় হতাশাগ্রস্থ হলে,তাই তাদের আশা দেখাতে হবে।