মানুষ দুর্দশায় পতিত হলে ধর্মের দিকে ঝুকে পড়ে

এই কথাটা প্রথম বলেছিলেন ফ্রান্সিস বেকন তাঁর “অফ এইথেজম” প্রবন্ধে। ফ্রান্সিস বেকনই পশ্চিমা যুক্তিবাদের জনক। বাংলাদেশের স্যেকুলারদের চিন্তা কাঠামো যেহেতু ইউরোপের অক্ষম অনুসরণ তাই তাদের চিন্তার টিকি বাধা থাকে এইরকম কিছু জায়গায়। “ধর্মের দুর্দশা তত্ত্ব” যারা দেন তাদের চিন্তার টিকি যে বেকনে বাধা আছে সেটা তারা কোনদিনই বুঝতে পারেনা। কারো কাছে হয়তো কোনদিন শুনেছে সেটাই বংশ পরম্পরায় আউরে চলে এরা।

প্রাচ্য এবং বাঙলা কিন্তু ধর্মকে দুর্দশা তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করেনা। ধর্মের সাথে চিন্তার এবং তাঁর “হয়ে ওঠার” সম্পর্কের কারণে আমাদের ধর্মভাব পশ্চিমের ব্যাখ্যা অনুসারে চলেনা।

তবে বেকনের সাথে তাদের চিন্তার টিকি বাধা আছে সেটা জেনে তারা পুলক অনুভব করতে পারে। বেকন বলে কথা। এই পুলকে পানি ঢেলে দেই একটু ওই প্রবন্ধ থেকেই আরেকটা কথা কৌট করে।

“যৎ সামান্য দর্শনই কাউকে নাস্তিক্যে নিক্ষেপ করে, কিন্তু দর্শনের জ্ঞান যদি গভীর হয় তাহলে তার মন ধর্মের দিকেই ঘোরে। মন যদি দ্বিতীয় কারণেই পড়ে থাকে, আর যদি এগিয়ে দেখতে না চায় তাহলে তার মন নাস্তিক্যেই বদ্ধ হয়, কিন্তু যদি সমস্ত কারণের মধ্যে পরম্পরা, সমন্বয় ও সংযোগটাকে চিনে ফেলা যায়, তাহলে মন ঈশ্বর ও পরমের দিকে ধাবিত হয়।”

লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Feeling social? comment with facebook here!

Subscribe to
Newsletter