বাংলাদেশের স্যেকুলারদের পপুলার বয়ান “মাদ্রাসা ছাত্ররা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানাবে।” আচ্ছা, আফগানিস্তানকে আজকের আফগানিস্তান বানিয়েছে কি মাদ্রাসা ছাত্ররা, নাকি আমেরিকা? ইরাককে আজকের ইরাক বানিয়েছে কে, মাদ্রাসা ছাত্র নাকি আমেরিকা? আমেরিকা কেন আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠিয়ে দখল করে সেখানে তাবেদার সরকার বসায়? বসায় এই কারণে যে, কাস্পিয়ান বেসিনে ২০০ বিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুত আছে, সেই তেল তাকে আফগানিস্তানের মধ্যেদিয়ে পাইপলাইন দিয়ে পাকিস্তান হয়ে ভারত মহাসাগরে নিতে হবে। এই রিজার্ভ মধ্যপ্রাচ্যের রিজার্ভের এক-তৃতীয়াংশ। তালেবানরা সেই তেলের লুটপাটে রাজি হয়নি। তাই তালেবানদের উৎখাতের প্রয়োজন হয়েছিল আমেরিকার। তাহলে আফগানিস্তানে স্পষ্টভাবে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন চলছে। সেই সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়ছে তালেবানরা। বামপন্থীরা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতীয়তাবাদীদের সাথে হাত মেলাতে পারে; কিন্তু ইসলামিস্টদের সাথে হাত মেলাতে পারে না কেন? তাদের লড়াইয়ের শক্তি ধর্ম তাই? যদি তাই হয়, তবে ল্যাটিন অ্যামেরিকায় ধর্মবাদী চার্চের সাথে হাত মিলিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার বামপন্থীরা কীভাবে সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে? ধর্ম তো এখানে ঐক্যের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়নি! তাহলে কী দাড়াচ্ছে? ধর্মের সাথে হাত মেলানোতে বামপন্থীদের সমস্যা নেই, সমস্যা হচ্ছে ইসলামের সাথে হাত মেলানোতে। তাহলে বামপন্থীরা মুখ ফুটে বললেই পারে তাদের কাছে সাম্রাজ্যবাদের চেয়ে বড় শত্রু “ইসলাম”। আজকে আপনাদের কথাই তাই আপনাদের ফিরিয়ে দেই। “ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিক্যাল্ট টু হাইড।” “তোমারি প্রতিধ্বনি তোমারেই দিই ফিরায়ে সেকি পশে তব স্বপ্নের পারে বিপুল অন্ধকার বাহি।”
