আচ্ছা, তোদের মুসা আওয়ামী লীগ ছাড়িয়া কেন শেখ মুজিবের পিছে লাগিল? ভগবান আমার দিকে তাকাইয়া গম্ভীর দৃষ্টিতে প্রশ্ন করিলেন।
প্রভু, আপনার তো কিছুই অজানা নয়, আমাকে কেন শুধু শুধু প্রশ্ন করিয়া বিব্রত করিতেছেন? আমি বলিলাম।
তোর বুদ্ধির পরীক্ষা লইতেছি।
প্রভু, এই আমলে তো টিভি স্টেশন হইল না, পরের আমলে যেন টিভি স্টেশনটি নির্বিবাদে হয়, তাই উনি ওনার আমলনামা ভারি করিতেছেন।
বাহ্ বাহ্ তোর বুদ্ধি খুলিতেছে।
প্রভু, আমি ক্ষুদ্র মানুষ, তবুও বলি, উনি আরো কিছু করিলে ওনার আখেরে লাভ হইত। টিভি স্টেশন কনফার্ম হইত।
যেমন?
এই ধরুন, গণতন্ত্রকে ধোলাই দিয়া কিছু বলিলে উত্তরপাড়া খুশি হইত। বলা যায় না, কখন ওনাদের মসনদে চাপিয়া বসিতে ইচ্ছা হয়।
বাহ্ বাহ্।
মুক্তিযুদ্ধকে উনি “গণ্ডগোল” বলিলে এবং “প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীর” বিচার চাহিলে আপনার প্রিয় দল খুশি হইত। ওনাদের সাথে নাকি আপনার ডাইরেক্ট লাইন আছে। তা হইলে, এই পাড়ে না হইলেও ওই পাড়ে আপনার উছিলায় উনি একমাত্র টিভি স্টেশন পাইতেন। স্বর্গলোকে এখনো আপনি টিভি স্টেশন কাউকে দেন নাই। টাকার জন্য চিন্তা নাই, ওনার পিছনে ল্যাবএইডের মালিক স্বয়ং টাকার বস্তা লইয়া দাঁড়াইয়া আছেন বলিয়া উনি ঘোষণা দিয়াছেন।
বাহ্ বাহ্, উত্তম। তুই তো আমাকে চমৎকৃত করিলি। একটিবার প্রার্থনা কর। আমি প্রীত বৎস।
প্রভু, ভয়ে না নির্ভয়ে বলিব?
নির্ভয়ে বল।
প্রভু মর্ত্যধামে আপনাকে সভাপতি আর নিজে সাধারণ সম্পাদক হইয়া একটি রাজনৈতিক দল খুলিব। আপনি অনুমতি দিন।
ভগবান গর্জন করিয়া উঠিলেন, বিশ্ব চরাচর দলিত মথিত করিয়া মহা বিস্ফোরণ ঘটিল, চারিদিকে দুরন্ত ঘূর্ণাবর্ত মত্ত হা হা রবে সমুদ্র গর্জনকে ম্লান করিয়া দিল। বিপুল তরঙ্গ আমাকে গ্রাস করিবার পূর্বেই দেখিলাম আমার নিদ্রা ভঙ্গ হইয়াছে।