আবারো গরুর মাংস বহনের অভিযোগে দিল্লি থেকে হরিয়ানাগামী ট্রেনে জুনায়েদ নামে এক ১৬ বছরের কিশোরকে হত্যা করা হয়েছে। গো রক্ষার জন্য নরহত্যা যতই মর্মান্তিক হোক না কেন পশ্চিমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের লোকাল এলাই ভারতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক নরহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অংগনে কোন প্রতিবাদ নেই। এমনকি ভারত রাষ্ট্রও এই নরহত্যার বিষয়ে কার্যত নীরব থেকে ঘটনাগুলোকে বাড়তে দিচ্ছে।
১৮৯২ সালে দয়ানন্দ সরস্বতী ভারতে গো রক্ষিনী সভা স্থাপন করেন। বৃটিশ ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাগগুলোর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় দাঙ্গা গুলো সেইসব জায়গায় সংঘটিত হতো যেসব জায়গায় এই গো রক্ষিণী সভার কর্মকাণ্ড প্রবল ছিলো। মুসলনমানদের ঈদ উৎসব পালনের দিন এই গো রক্ষিনী সভার প্ররোচণা ও হস্তক্ষেপ ছিলো অনেক দাঙ্গার পুর্বশর্ত।
১৯১৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিহারে সংঘটিত দাঙ্গাগুলোর সুচনাকাল খুটিয়ে লক্ষ্য করলে দেখা যায় এখানে দাঙ্গা বেধেছে রামনবমী উদযাপনের দিন বা তার ঠিক পরপর। রামনবমী উদযাপনের একটা বিশেষ রীতি আছে- এই দিনে হিন্দুরা সদলবলে অস্ত্র হাতে রাবণ বা অনার্য শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার মহড়া দেয়। সেই মহড়া কালেই তারা অহিন্দুদের উপরে চড়াও হয়। বিহারের এই রিচুয়ালকে এইবার কোলকাতায় আমদানী করা হয়েছে। বুঝতে পারছেন তো চাকা কোনদিকে ঘুরছে?
চারিদিক থেকে ধেয়ে আসছে বিপদ। উপমহাদেশককে ভয়াবহ যেই সাম্প্রদায়িক সংঘাতের দিকে হিন্দুত্ববাদীরা ঠেলে দিচ্ছে এর পরিণতিতে শুধু দুই সম্প্রদায়ের ভিতরে রক্তপাতই হবেনা, ভারত রাষ্ট্রও ছিন্নভিন্ন হয়ে যাবে।
ভারতের বামপন্থীরা এমনকি প্রো পিপল কোন ফোর্সকেও এই নিয়ে প্রবল প্রতিরোধে সামিল দেখতে পাচ্ছিনা। বড়ই হতাশাজনক।
লেখাটির ফেইসবুক ভার্সন পড়তে চাইলে এইখানে ক্লিক করুন