ধর্ম মানেই প্রতিক্রিয়াশীল এই ধারনাটাই “প্রতিক্রিয়াশীল”। সকল মানুষ সমান, মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নাই, পৃথিবীকে এই ধারণা উপহার দিয়েছে ধর্ম। রাষ্ট্র আর ধর্মকে আলাদা করাকে যে স্যেকুলারিজম বলা হয় সেটাও ধর্মেরই প্রেরণা। প্রটেস্ট্যান্ট রিফর্মিস্ট খ্রিস্টান পাদ্রী মারটিন লুথারের লড়াইয়ের ফলই আজকের স্যেকুলারিজম। ধর্ম মানুষকে পিছনেই টেনে নিয়ে গেছে সেটা সর্বাংশে সত্য নয়; ধর্ম মানুষকে সামনে এগিয়ে যাবার অন্তহীন প্রেরণাও দিয়েছে।
এঙ্গেলস জর্মন কৃষক যুদ্ধের পর্যালোচনা করে দেখিয়েছেন ধর্ম কীভাবে সেখানে লড়াইয়ের মতাদর্শ হিসেবে হাজির। গৌতম ভদ্র পূর্ববঙ্গের কৃষক বিদ্রোহের প্রেরণা হিসেবে শুধুমাত্র ধর্মকেই চিহ্নিত করেছেন।
ধর্ম বলতে বাংলাদেশের স্যেকুলাররা যেটা বুঝে বা বুঝাতে চায় সেটা হচ্ছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক ক্ষমতার কার্যকর সম্পর্ক যেভাবে ধর্মের ব্যাখ্যা হাজির করে সেটাকেই। সেটা ধর্ম নয় সেটা রাজনীতিই। কৌশলী রাজনীতি আর ক্ষমতা সম্পর্ক যখন ধর্মের চেহারা নিয়ে হাজির হয় সেটাকেই ধর্ম ভেবে স্যেকুলাররা “ধর্মের” বিরুদ্ধে তলোয়ার চালায়।
এর ফলে স্যেকুলারদের মূর্খতাই প্রমাণিত হয়। তাদের চিন্তার বিকৃতি এই মূর্খতার সাথে মিলে বাংলাদেশে যেই ভয়াবহ সংকটের জন্ম দিয়েছে সেটা থেকে পরিত্রাণের পথ ক্রমশই দুর্গম হয়ে উঠছে।