একবার একজন অর্থনীতিবিদ দোকানে গেলেন তাঁর স্ত্রীর জন্য বক্ষবন্ধনী কিনতে। একজন পুরুষ বক্ষবন্ধনী কিনতে গেলে যদি নারী বিক্রেতা হয় তাহলে সেটা দুপক্ষের জন্যেই একটু অস্বস্তির ব্যাপার হয়। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের অর্থনীতিবিদের ভাগ্যে নারী বিক্রেতাই পড়লো।
কাঁচুমাচু করে দোকানে গিয়েই সেলস গার্লকে তিনি বললেন যে, তিনি একজন অর্থনীতিবিদ, মেয়েদের বক্ষবন্ধনী কিনতে চান, এবং এই বক্ষবন্ধনী সম্পর্কে তার কোন বিশদ ধারনা নেই। সেলস গার্ল যদি এবিষয়ে একটু সাহায্য করে তাহলে তিনি উপকৃত হবেন।
ভাগ্যক্রমে সেলসগার্লটি ছিল শিক্ষিতা ও বুদ্ধিমতি, সে গ্রাহকের মন বুঝে কথা বলতে জানতো।
স্মিত হেসে মেয়েটি জিজ্ঞাসা করল,”তা স্যার., আপনাকে ঠিক কোন ধরণের বক্ষবন্ধনী দেখাবো বলুন…
পুঁজিবাদী বক্ষবন্ধনী, সমাজতান্ত্রিক বক্ষবন্ধনী, না কম গনতন্ত্র অধিক উন্নয়নের বক্ষবন্ধনী?
বেশ আগ্রহ নিয়ে অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন করলেন..,
“এগুলোর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী?
সেলসগার্ল লেকচারের ভঙ্গিতে বলতে লাগলো:
১) পুঁজিবাদি’ বক্ষবন্ধনী : বড় একটা অংশকে চিড়ে চ্যাপ্টা করে অল্প অংশকে সুউচ্চে তুলে ধরে।
২) ‘সমাজতান্ত্রিক’ বক্ষবন্ধনী : বেশির ভাগ অংশকে একইসাথে উপরে টেনে তোলার চেষ্টা করে।
৩) ‘কম গনতন্ত্র অধিক উন্নয়ন’ বক্ষবন্ধনী : আভ্যন্তরীন রুগ্ন জীর্ণ দশাকে লুকিয়ে, সবার কাছে বিশাল আকৃতির স্বপ্নের ধুম্রজাল সৃষ্টি করে।
বলাই বাহুল্য আমাদের আলোচ্য অর্থনীতিবিদ তৃতীয় ধরণের বক্ষবন্ধনীই কিনেছিলেন